Sunday 31 May 2020

'তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে’, ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলকে আক্রমণের নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়েছে। শাসকদলকে উদ্দেশ্য করে রবিবার তিনি বলেন, “ত্রাণ দিতে গেলে পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। আমাদের এমপিদের আটকাচ্ছে। আবার নিজেরাও ত্রাণ


পারছে না। মারপিট করছে। এতো ভয়ঙ্কর অবস্থা। তৃণমূলের অন্তর্জলি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে।” ভাঙরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেই তিনি এই মন্তব্য করেন। তৃণমূল দলের উপর নেতাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তৃণমূল এখন পার্টি নয় প্রোপার্টি হয়ে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।


পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শ্রমিকদের ভয়ঙ্কর দশা দেখে কেন্দ্র তাদের নিজেদের রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। আর বাংলার সরকার পরিযায়ীদের নিয়ে রাজনীতি করছে। প্রথম থেকেই রাজ্যের পরিকল্পনা ছিল পরিযায়ীদের ঢুকতে দেবে না। তাদের কোনও ব্যবস্থা নেই। এটা অমানবিক ও নিন্দনীয়। তাঁর কথায়, কেন্দ্র ট্রেন দিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাকি দায়িত্ব রাজ্যের। মন্তব্য দিলীপবাবুর।

করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দশ দফা প্রস্তাব দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে এই প্রস্তাব দিয়েছেন রাহুলবাবু। প্রস্তাবে তিনি বলেছেন, করোনা মোকাবিলা ও আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনসেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকেই মূলত নজর দিক রাজ্য সরকার। সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হোক। রাজনীতি বন্ধ করুক তৃণমূল। কেন্দ্র-রাজ্য মিলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হোক। রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করুক সরকার। এছাড়া, ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্য আরএসএস, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রেডক্রসের সাহায্য নিক সরকার। একইসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বদল ও পূর্ন সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল সিনহা।

Disqus Comments