ABVP West Bengal |
এতদিন যে সমস্ত প্রতিবাদ হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ির সামনে থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবিভিপি। এক প্রকার বিবেকানন্দকে সামনে রেখে তাঁদের আদর্শ মনে করে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে গেরুয়া ছাত্র সংগঠন। এবার তাঁরা রবীন্দ্রনাথের কাছে এলেন। জানালেন মৌন প্রতিবাদ। উদ্দেশ্য পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে ঘটে যাওয়া কুশ্রী ঘটনা।
শনিবার দুপুর একটা নাগাদ তাঁরা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। তাঁরা জানাচ্ছে , ‘মৌন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থাপিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসকদলের বিধায়কের উপস্থিতিতে ও বহিরাগত গুন্ডাদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করার প্রচেষ্টাকে বিদ্যার্থী পরিষদ ধিক্কার জানায়।’ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতেই তাঁরা এই মৌন মিছিল করছে বলে জানিয়েছে।
এর আগে বিদ্যার্থী পরিষদ জানিয়েছিল , বিশ্বভারতীর ঘটনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান এবং বাঙালি তথা ভারতীয় সংস্কৃতি ধ্বংসের অপচেষ্টা। তাঁরা জানিয়েছিল, ‘আমরা দেখেছি গত ১৬ই আগস্ট, রবিবার সকালবেলায় কিছু বামপন্থী ও নক্সাল নেতাদের নেতৃত্বে পৌষমেলার মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এবং পরের দিন ১৭ই আগস্ট, সোমবার পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ওই বামপন্থী এবং নক্সালদের প্রচারে এবং মদতে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে দুবরাজপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি, বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর ওমর শেখ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা গগন সরকার সহ অন্যান্য বহিরাগতরা বিশ্বভারতীতে ভাঙচুর ও বিশ্বভারতীর সম্পত্তি লুটপাট চালায়। বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী এবং রবীন্দ্রপ্রেমী হিসাবে বিশ্বভারতীর বুকে বামপন্থী ও তৃণমূলের সম্মিলিত এই তালিবানি হামলাকে ধিক্কার জানাই। নিঃসন্দেহে এর আগে শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে এমন কালোদিন আসেনি বলেই আমরা মনে করি।’
এই ঘটনায় এবিভিপি রাজ্য সম্পাদক সুরঞ্জন সরকার বলেন, ‘বিশ্বভারতী ভাঙচুরের ঘটনা বাঙালি তথা ভারতীয় মহান মনীষী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান এবং বাঙালি তথা ভারতীয় সংস্কৃতি ধ্বংসের অপচেষ্টা। পূর্ব পরিকল্পিত এই ধ্বংসলীলা বিকৃত মানসিকতার ও নিম্নরুচি সম্পন্ন বর্তমান শাসকদলের দুষ্কর্মের ফল।’ তাঁরা দাবী করেছিল , ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও অন্যান্যদের কর্মচারীদের সুরক্ষার স্বার্থে ও বিশ্বভারতীর সুনাম ও ঐতিহ্যকে অক্ষত রাখতে আমরা এবিভিপি বিশ্বভারতী ইউনিটের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। পাশাপাশি বিশ্বভারতীতে যারা বহিরাগত প্রবেশে মদত দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।’